
‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’
নারীর অধিকার আদায়ের ডাক
- আপলোড সময় : ১৭-০৫-২০২৫ ০২:৫৭:০৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৭-০৫-২০২৫ ০২:৫৭:০৪ অপরাহ্ন


* নারীদের প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে দীপ্ত প্রতিবাদ
* কর্মসূচিতে ৫০টির বেশি সংগঠন সংহতি প্রকাশ
‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রগতিশীল নারী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক এবং পেশাজীবী সংগঠনগুলো এর আয়োজন করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এদিন দুপুরের আগ থেকেই বিভিন্ন ব্যানার-প্লেকার্ড হাতে কর্মসূচি স্থলে অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিত হতে দেখা গেছে।
‘সমতার দাবিতে আমরা’-সেøাগানে বিভিন্ন নারী সংগঠন এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, নারী মুক্তি কেন্দ্র, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, হিল উইমেনস ফেডারেশন, আদিবাসী ইউনিয়ন, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, বাংলাদেশ নারী জোট, নারী সংহতি, ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী), তীরন্দাজ, শ্রমিক অধিকার আন্দোলন প্রভৃতি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচি মূলত নারীদের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে। নারীদের প্রতি অবহেলা, অবজ্ঞা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে দীপ্ত প্রতিবাদ।
‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ কর্মসূচিতে ৫০টির বেশি সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নারীদের সরব উপস্থিতি ও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা এবং সামাজিক কাঠামো নারীদের সেই ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নারীরা শুধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নয়, শ্রমক্ষেত্র থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গন, সংস্কৃতি এবং প্রতিদিনের জীবনে যেভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, তার মূল্যায়ন এখনও পর্যাপ্ত নয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী নারী, যৌনকর্মী ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নারীদের ওপর যেসব নিপীড়ন চলছে, তার বেশিরভাগই থেকে যাচ্ছে বিচারহীন। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো এবং ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী যৌথভাবে নারীদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যকে আরও শক্তিশালী করছে। নারীদের নিজস্ব স্বরকে দাবিয়ে রাখার অপচেষ্টা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রতিটি ঘটনাতেই।
এই কর্মসূচি কেবল নারীদের স্বার্থরক্ষা নয়, বরং এটি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনের অংশ। সমাজের সব স্তরের মানুষকে এই যাত্রায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
নারীমুক্তি কোনও একক ইস্যু নয়, এটি শ্রমিক-মজুরের মুক্তি, জাতিসত্তার অধিকার, বাক-স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গেই জড়িত। তাই এই যাত্রা শুধুই নারীর নয় বরং সব প্রগতিশীল শক্তির মিলনমঞ্চ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ